Fakir Shah

গুমের বিচার বাংলাদেশ করতে পারবে না

যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর একটা কথা অনেক মনে পরে।  

যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ন্যূনতম যে দক্ষতা ও নিবেদিতপ্রাণ প্রসিকিউটরের প্রয়োজন ছিল, তার বড়ই অভাব ছিল। যুদ্ধাপরাধ ট্রায়ালের জন্য যাদের সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের শীর্ষস্থানীয় একজন যখন আমাকে বললেন, ‘আমার …কে আমাকে বাঁচাতে হবে’, তখন আমার মনে হয়েছিল যুদ্ধাপরাধের আর বিচার হচ্ছে না। আমি আমিনুল হককে (পরে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল হন) বলেছিলাম, ‘আপনারা ওঅর ক্রাইমের ট্রায়াল করতে পারবেন না।’

সাকিবের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা

আইনের শাসন বলতে আপনি কি বোঝেন? 

আইনের শাসনের অনেকগুলা দিক আছে, তার মধ্যে একটা হইলো অপরাধীর নিরাপত্তা। একজন মানুষ অনেক অপরাধ করতে পারেন, কিন্তু তার মানি এইনা যে আপনি তাকে জনগণের হাতে তুলে দিবেন গণপিটুনির জন্য গণপিটুনি বিচারের (mob justice) এর জন্য। আপনি তাকে নিরাপত্তা দিয়ে আদালতে হাজির করবেন। সে চাইলে তার পছন্দ মতো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। বিচারে যদি আদালত উক্ত ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে তবে তার জেল জরিমানা হবে।  কিন্তু কোন মোটেই আপনি অন্য একজন মানুষের উপর হামলা করে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না, ওই ব্যক্তি যতই দোষী হোক না কেন। এবং এই পুরো বিষয়টি দেখা রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।   

জামাত শিবির এবং গণতন্ত্র

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনে শিবিরের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক দেখা দেয়। বিতর্কটা মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে কার কি ভূমিকা তা নিয়ে এবং এই ভূমিকার যথার্থতা নিয়ে।  কিন্তু জামাত শিবির কতটা গনত্রন্ত্র এ বিশ্বাস করে এবং তাদের দ্বারা আমরা একটি গণত্রান্ত্রিক দেশ ঘটনার দিকে আমরা যেতে পারবো কিনা তা নিয়ে নয়। এই বিষয়টা নিয়ে আমার কিছু কথা আছে। 

প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে জামাত এবং এর ছাত্র সংগঠন শিবির আদর্শিকভাবে গনত্রন্ত্রে বিশ্বাস করে কিনা।  যদি বিশ্বাস করে তবে তাদের গনত্রন্ত্র কেমন।